ইয়েমেনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
ইয়েমেনের রাজধানী সানার দু’টি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলায় ৩০০ জনের বেশি আহত হয়।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
জানা যায়, মুসল্লিরা শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য জড়ো হওয়ার সময় এ হামলা চালানো হয়। সানার দক্ষিণাঞ্চলে বদর মসজিদে ও উত্তর দিকে অবস্থিত আল-হাসুস মসজিদে চালানো হয় চারটি আত্মঘাতী বোমা হামলা।
বদর মসজিদে প্রথমে একজন আত্মঘাতী হামলাকারী ভেতরে ঢুকে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। বেঁচে যাওয়া লোকজন তখন প্রধান ফটক দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর দ্বিতীয় হামলাকারী সেখানেই ওঁত পেতে ছিল। তাকে সেখান থেকেই ধরে ফেলা হয়। সেখানেই হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলাকারি দুজন সানার দক্ষিণে বদর মসজিদে হামলা চালায়। বদর মসজিদে আমি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। আমি নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের পথে ছিলাম। তখন প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শুনি। আরও কিছু সময় পরই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয়।
ইয়েমেন পোস্ট পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হাকিম আল মাসমারি আল-জাজিরাকে বলেন, ‘ এ মসজিদ দু’টি প্রধানত শিয়াদের কেন্দ্রীয় মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এ ঘটনার ফলে হুথিদের সঙ্গে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সংঘাত আরও বৃদ্ধি পাবে।’
এছাড়া একজন শিয়া হুতি ইমাম আল-মুর্তাদা বিন জায়েদ আল-মাহাতওয়ারি এ হামলায় নিহত হন। তিনি বদর মসজিদের ইমাম ছিলেন। দক্ষিণ ইয়েমেনের শহর এডেনে অবস্থানরত সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ আল সালেহ ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মানসুর হাদির সমর্থিত সেনাদের সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হওয়ার পরের দিন এ হামলার ঘটনা ঘটলো।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরেই ইয়েমেনে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। হাউথি বিদ্রোহীরা দেশটির ২১টি প্রদেশের মধ্যে ৯টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হুথি শিয়া যোদ্ধারা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে। পরে তারা প্রেসিডেন্ট সালেহকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এদিকে আইএস গত নভেম্বরে ইয়েমেনে নিজেদের শাখা খুলেছে। সূত্র: আল জাজিরা,বিবিসি, রয়টার্স।
প্রতিক্ষণ/এডি/মাহমুদ